
এস এম খোকনঃ “বাঁচাও নদী-নালা,বাঁচাও দেশ,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে ধারণ ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ঐতিহাসিক গড়ের খাল পুনঃখনন কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বানিয়াচং ৪নং ইউনিয়নের অন্তর্গত কুন্ডুরপাড় নামক এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১.৬ কিলোমিটার পুন:খনন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মসন সিংহ, ভাইস-চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এস এম খোকন, ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া,বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ,৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন, ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান,৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, ৯নং পুকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ শামরুল ইসলাম, ৭নং বড়ইউড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ও দলীয় নেতৃবৃন্দসহ এলাকার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
এ উপলক্ষে বিকেলে উপজেলা পরিষদ মাঠে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ অ্যাডভেকেট আব্দুল মজিদ খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মজিদ খান বলেন,আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর ঐতিহাসিক গড়ের খাল পুনরুদ্ধারে একাধিকবার কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা বিভিন্ন কারণে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। অনেক চেষ্টার পর এবছর সেটা সম্ভব হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,ঐতিহাসিক গড়ের খাল পুন:খনন হলে মৎস্য আহরণ, সারি সারি বৃক্ষ রোপণ,পর্যাপ্ত পানি ধারণসহ গোটা বানিয়াচংটাই সবুজায়ন হবে। প্রয়োজন হলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ভিতরের খালগুলোও উদ্ধার করে খনন করা হবে। আমাদের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রটা ত্যাগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ের স্বার্থে দলের উর্ধ্বে উঠে ঐতিহাসিক উদ্যোগকে সহযোগিতা করতে হবে সবাইকে।
উল্লেখ্য,পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম ও প্রাচীন লাউড় রাজ্যের রাজধানী বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক গড়ের খাল। এই খাল পুনঃখনন হলে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ের জলাবদ্ধতা নিরসন,পানি নিষ্কাশন,সৌন্দর্য্য বর্ধন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
প্রাচীন রাজা-বাদশারা রাজধানী শহর হিসেবে বানিয়াচংকে সুরক্ষিত রাখার জন্য বানিয়াচংয়ের চারপাশে গড়ের খাল নামক প্রতিরক্ষা পরিখা খনন করেছিলেন।
বিখ্যাত গীতিকাব্য ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’ গ্রন্থে বানিয়াচংকে শহর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কালক্রমে এ শহর গ্রামে রূপান্তরিত হয় এবং ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বানিয়াচং গ্রাম পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।